আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
إنا أنزلناه قرآنا عربيا لعلكم تعقلون
অর্থ: নিশ্চয়ই
আমি একে আরবী কোরআন হিসেবে অবতির্ণ করেছি, যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম করতে পারো। [সূরা ইউসুফ-2]
আরবের মানুষের
ভাষা আরবী, আমাদের নকিজী স. এর ভাষাও ছিলো
আরবী। আল্লাহ তায়ালা তাই কোরআনও অবতীর্ণ করেছেন আরবী ভাষায়। সুতরাং বোঝা যায় ইসলামে
মাতৃভাষা গুরুত্বপূর্ণ অবদান বহন করে।
নবিজী হযরত মুহাম্মদ স. মুয়াজ ইবনে জাবাল রযি.
কে পারস্যে দ্বীন প্রচারের জন্য পাঠিয়েছেন। যিনি ফারসী ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
কোরআন সর্বপ্রথম অনুবাদ করেন নবিজী
স. এর সাহাবী, সালমান ফারসী রযি. যার মাতৃভাষা ছিলো আরবী।
এসকল ঘটনা থেকে মাতৃভাষার গুরুত্বের
প্রমাণ পাওয়া যায়।
তাই বাঙালী জাতীর বাংলা ভাষাও আল্লাহ
তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত।
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কিছু
কথা স্বরণ রাখা প্রয়োজন।
দেশের ভাষা যেমন আমাদের মাতৃভাষা, তদ্রুপ
আমাদের নিজ নিজ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষাও আমাদের মাতৃভাষা। সবচেয়ে বড় কথা এসব আঞ্চলিক ভাষাও অল্লাহ
তায়ালাই সৃষ্টি করেছেন।
তাই আধুনিকতার জোয়ারে শরীর ভাসিয়ে আল্ট্রা
মডার্ণ হওয়ার পর গ্রাম্য ভাষাকে তুচ্ছ করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আসুন আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবসে সকলের মাতৃভাষাকে সম্মান করি।
0 Comments