এই পোস্টটি পদার্থবিজ্ঞান ভালো মতো বোঝে, এমন ব্যাক্তিদের জন্য

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

الله الذى خلق سبع سماوات و من الأرض مثلهن يتنزل الأمر بينهن لتعلموا أن الله على كل شيئ قدير

অর্থ: আল্লাহ তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন ৭ আকাশ, এবং তদ্রুপ সৃষ্টি করেছেন (৭ টি) পৃথিবী, এগুলোর প্রত্যেকটির মাঝে হুকুম-আহকাম নাজিল হয়, যাতে তোমরা শিখতে পারো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীন।

[সূরা তালাক— ১২]


এই আয়াতে কয়েকটা বিষয় লক্ষ্যণীয়—


আল্লাহ তায়ালা ৭ টি আসমান এবং ৭ টি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, যেগুলোতে হুকুম আহকামও নাজিল হয়।


আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রযি. থেকে মুজাহিদ রহ. বলেন, “আমি এই আয়াতের তাফসীর বলবো না! কারণ তাহলে আমি ভয় করি তোমরা এই আয়াত অস্বীকার করে কুফর করবে!” [তাফসীরে ইবনে কাসীর]


আজব বিষয় হলো, ব্যাখ্যাটি এমন ছিলো, যা ঐ যুগের মানুষের যুক্তির বাহিরে ছিলো, কিন্তু আমাদের নিকট তা সহযেই বোধগম্য হওয়ার মতো! তফসীরটি হলো-


আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রযি. এই আয়াত সম্পর্কে বলেন,

سبع أرضين فى كل أرص نبى كنبيكم و آدم كآدم و نوح كنوح و إبراهيم كإبراهيم و عيسى كعيسى

অর্থ: ৭ টা পৃথিবীর প্রত্যেকটিতে তোমাদের নবীর মতো নবী আছে! আদমের মতো আদম আছে! নুহের মতো নুহ আছে! ইবরাহিমের মতো ইবরাহিম আছে! ঈসার মতো ঈসা আছে!


আরো সহজ করে আমর রযি. বলেন,

فى كل أرض مثل إبراهيم و نحو ما على الأرض من الخلق

অর্থ: প্রত্যেক পৃথিবীতে ইবরাহিমের মতো ইবরাহিম আছে, এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে (প্রত্যেক মানুষ, প্রত্যেক গাছপালা সবকিছু) অন্য পৃথিবীগুলোতেও তদ্রুপ বিদ্যমান!


সুবহানাল্লাহ! অনেকে প্রশ্ন করে, এলিয়ান সম্পর্কে ইসলাম কি বলে! কিন্তু আজব বিষয়, এলিয়ান সম্পর্কে আর কি বলবো, স্বয়ণ আমাদের প্রত্যেকের মতোই আরো ৬ টা মানুষ অন্য জগতে আছে! কল্পনা করা যায়?



এই থিওরী বিজ্ঞানের বিরোধী নয়, বরং বর্তমান বিজ্ঞানও একই কথা বলে। বিজ্ঞানও বলে, আমাদের প্রত্যেকের সদৃশ অন্য ব্যাক্তি অন্য জগতে থাকা সম্ভব। যেই থিওরীকে বলা হয় প্যারারেল ইউনিভার্স (Parallel Universe) সুতরাং বর্তমান বিজ্ঞানের এই থিওরী হুবহু কোরআন হাদিসের সাথে মিলে যায়।



তবে উপরের হাদিসটি মোল্লা আলী কারী রহ. এর মতে মউজু (জাল) তিনি আরো বলেন, যদি হাদসটি সহীহ হয়ও, তবুও এটি ইসরাইলী মতবাদ অর্থাৎ ইহুদী নাসারাদের তত্ত্ব, নবীর হাদিস নয়।

তাই আমরা এই তত্ত্ব গ্রহণ করবো না, আবার সরাসরি বিরোধীতাও করবো না, হলেও হতে পারে কিন্তু সঠিকটা আল্লাহ জানেন -এমন ধারণা রাখবো।


তবে ৭ আসমান ৭ জমিনের অধিক গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পরবর্তী আয়াতের তাফসীরে স্পষ্ট বোঝা যাবে!



আল্লাহ তায়ালা বলেন,

تبارك الذة جعل فى السماء بروجا و جعل فيها سراجا و قمرا منيرا

অর্থ: কতো মহান তিনি (আল্লাহ) যিনি আসমানে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন, এবং সেখানে (আসমানে) আরো সৃষ্টি করেছেন প্রদীপ (সূর্য) এবং নূর বিশিষ্ট চাঁদ।

[সূরা ফোরকান— ৬১]


আল্লাহ সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন আমরা উপরে আলোচনা করেছি। এখন এই আয়াতে আল্লাহ আসমানে কি কি আছে, তার বর্ণনা দিচ্ছেন।


১. আসমানে আছে রাশিচক্র। রাশিচক্র বলতে আমি ভাগ্য বুঝি! মূলত বিষয়টা তা নয়। বরং, বিভিন্ন গ্রহ চলাচলের পথ বা অক্ষটাকেই বলা হয় রাশিচক্র।


এমন রাশিচক্র মোট ১২ টি। যার মধ্যে ১ম এবং ৪র্থ আসমানে ১ টি, বাঁকি অন্যান্য আসমানে ২ টি করে কক্ষপথ বিদ্যমান।


নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,


প্রথম আসমান — এখানে চাঁদ قمرবিচরণ করে। চাঁদের কক্ষপথকে বলা হয় কর্কট রাশি السرطان


দ্বিতীয় আসমান — এখানে বুধ গ্রহ عطارد বিচরণ করে। বুধ গ্রহের কক্ষপথ দুটির নাম “মিথুন রাশি” الجوزاء এবং “কণ্যা রাশি”  السنبلة


তৃতীয় আসমান — এখানে শুক্র গ্রহ الزهرة বিচরণ করে। শুক্র গ্রহের গতিপথ দুটির নাম “বৃষ রাশি” الثور এবং “তুলা রাশি” الميزان


চতুর্থ আসমান — এখানে সূর্য شمس বিচরণ করে। সূর্যের কক্ষপথকে বলা হয় “সিংহ রাশি” الأسد


পঞ্চম আসমান — এখানে মঙ্গল গ্রহ المريخ বিচরণ করে। মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ দুটির নাম “মেষ রাশি” الحملএবং “বৃশ্চিক রাশি” العقرب


ষষ্ঠ আসমান — এখানে বৃহস্পতি গ্রহ المشترى বিচরণ করে। এর কক্ষপথ দুটির নাম “ধনু রাশি” القوس এবং “মীন রাশি” الحوت


সপ্তম আসমান — এখানে শনি গ্রহ زهل বিচরণ করে। এর কক্ষপথ দুটির নাম “মকর রাশি” الجدى এবং “কুম্ভ রাশি” الدلو



উপরে যেই মহাজাগতিক তত্ত্ব লিখলাম, এটি এরিস্টটলের “ভূকেন্দ্রিক তত্ত্ব”


জেনে রাখা উচিৎ, এরিস্টটলের জন্ম খ্রীস্টপূর্ব ৩৮৪ সাল এবং মৃত্যু খ্রীস্টপূর্ব ৩২২ সালে।


বোঝা গেলো, এরিস্টটলের এই তত্ত্ব কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার প্রায় ৯৫০ বছর পূর্বের!! যেহেতু এই তত্ত্বের সাথেই কোরআনের ৭ আসমান ৭ জমিন তত্ত্ব মিলে যায়, তাই বলা যায়, “এরিস্টটলের এই থিওরী সমর্থন করেই কোরআনের আয়াত সমূহ অবতীর্ণ হয়েছে


আধুনিক বিজ্ঞান পর্যালোচনা :


১.আধুনিক বিজ্ঞান উপরের গ্রহ গুলোর সাথে আরো ৭ টি গ্রহ যুক্ত করেছে। যেগুলো হলো — ইউরেনাস, নেপচুন সেরেস, প্লুটো, হাউমেয়া, মাকেমাকে, এরিস

কিন্তু মজার বিষয় হলো, পরবর্তী বিজ্ঞানীগণ সেরেস, প্লুটো, হাউমেয়া, মাকামাকে, এরিস -এই ৫ টি গ্রহকেও অস্বীকার করেছেন।


বাঁকি থাকলো শুধু ইউরেনাস এবং নেপচুন।


লক্ষ্যণীয় বিষয় ইউরনাস এবং নেপচুনে কোনো কঠিন স্তর নেই। বরং পুরোটাই গ্যাসের বলয়। সুতরাং এটাকে জমীন أرض বলা যায় না।


তদ্রুপ সূর্যও গ্যাসের তৈরী। সুতরাং এটাও জমীন أرض নয়।


বাঁকি থাকলো শুধু পৃথিবী, চাঁদ, বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি শনি। আল্লাহু আকবার! হুবহু ৭ টি গ্রহ!



সূর্য কেন্দ্রিক মডেল সঠিক নাকি পৃথিবী কেন্দ্রিক?


সত্যি বলতে সৌর কেন্দ্রিক মডেল এবং পৃথিবী কেন্দ্রিক মডেল -এই দুটির একটিও কারো কোনো নিশ্চিত থিওরী নয়। বরং শুধু ধারণা।


বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রহ দেখেছে টেলিস্কোপের মাধ্যমে। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু নিজস্ব শক্তি কণা বিকিরণ করে। এই শক্তি কণা পৃথিবীতে পৌছাতে যতোক্ষণ সময় লাগবে, একটু দূরে গেলে সেটি পৌছাতে আরো একটু বেশি সময় লাগবে। এই ক্ষুদ্র সময় পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে এবং বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ সূত্র অনুসারেই মহাজাগতিক তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত।


উপরের উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়, কোন গ্রহ কখন শক্তি বিকিরণ করলো, এসব বিষয়ের সূক্ষ্ণতা ৫০% ও নয়। আমরা কেউই এগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাসতো দূরের কথা, একটু ভরসা করা যায়, এমন বিশ্বাসও রাখার মতো প্রমাণাদি বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত দেখাতে পারেনি।



সনাতন পদার্থবিদ্যার জনক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থবীদ, বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের মতাণূসারে, প্রত্যেক বস্তু অপর বস্তুকে আকর্ষণ করে তার নিজস্ব ভর শক্তির কারণে।


অথচ বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টইন কি বলেন? তিনি তার আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের একাংশ অনুযায়ী, একটা টানটান করা কাপড়ের মাঝে একটি মার্ভেল রাখলে স্থানটি যেমন একটু ঢালু হয়ে যাবে, প্রায় এমন দেখতে প্রতিটি বস্তুর সাথেই একটি অদৃশ্য ক্ষেত্র আছে, যেটি আইনস্টাইনের “ক্ষেত্র তত্ত্ব” নামে পরিচিত। এই ক্ষেত্রের বলেই মহাবিশ্বের গ্রহ নক্ষত্রগুলো একে অপরকে আকর্ষণ করে।


মজার বিষয় হলো, এই সেইম থিওরী বলেছিলেন এরিস্টটল! পার্থক্য শুধু বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার “আপেক্ষিকতার সাধারণ সূত্র” দ্বারা গণিতের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, কিন্তু এরিস্টটল কোনো প্রমাণ দেখাননি শুধুই ধারণা করেছেন!



উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায়, মহাবিম্ব তত্ত্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এরিস্টটলের তত্ত্ব নিউটনীয় বলবিদ্যা দ্বারা ভুল প্রমাণ হয়, আবার আইন্সটানীয় পদার্থবিদ্যার মাধ্যমে মহাবিশ্ব বিষয়র নিউটনীয় বলবিদ্যা ভুল প্রমাণ হয়ে সেই পূর্বের এরিস্টটলীয় মতবাদই প্রধাণ্য লাভ করে!


সুতরাং বোঝা গেলো, এসব বিজ্ঞান কখনই “ইমান” তথা নিশ্চিত বিশ্বাসের পর্যায়ে আনা যাবে না। নিশ্চিত বিশ্বাস সর্বদা কোরআন হাদিসের প্রতিই রাখতে হবে।


উপরের আলোচনার সারমর্ম এটুকুইযে, কোরআন হাদিস অনুসারে বিজ্ঞানীদের যেই তত্ত্ব সত্য (যেমন এখানে এরিস্টটলের মতবাদ) আমরা সেটাই মানবো অন্য বিজ্ঞানীরা কি বললো, সেটা প্রয়োজনে দলিল প্রমাণ দ্বারা ভুল প্রমাণ করবো (যেমন আমি করলাম আইনস্টাইনের তত্ত্ব দ্বারা) কিন্তু, এসব বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব দ্বারা কোরআন হাদিসের উল্টো বলবো না বা কোরআন হাদিসের অর্থ বিকৃত করার চেষ্টা করবো না।


আয়াতের দ্বিতীয় অংশ


২. আলোচিত আয়াতের দ্বিতীং অংশে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “আসমানে আরো সৃষ্টি করেছি প্রদীপ এবং নূর বিশিষ্ট চাঁদ”


অন্যান্য আরো বহু আয়াতেই (যেমন সূরা নূহ-১৬ নং আয়াত) আল্লাহ তায়ালা সূর্যকে বলেছেন প্রদীপ, এবং চাঁদকে বলেছেন নূর! এর ব্যাখ্যা কি?



মুফাচ্ছিরগণ (ইবনে কাসীর, কুরতুবী, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ সহ আরো বড় বড় প্রায় সকল মুফাচ্ছির একমত হয়ে) বলেন,

প্রদীপের আলো হলো ঐ আলো, যেখানে জ্বালানী প্রজ্বলিত হওয়ার মাধ্যমে আলো উৎপন্ন হয়, এই আলোতে তাপ থাকে, শক্তি থাকে।

আর নূর হলো মৃদু আলো, যেই আলোতে কোনো প্রকার তাপ থাকে না বরং শুধুই আলো থাকে



এখানে বোঝার বিষয়,

১. চাঁদ যদি সূর্যের আলো পৃতিফলিত করতো, তাহলে সেই আলোতে খুব ক্ষুদ্র পরিমাণ হলেও তাপ উপস্থিত থাকতো। কিন্তু ভরা পূর্ণিমার রাতের চাঁদের আলোতেও এক বিন্দু পরিমাণও তাপ উপস্থিত নেই! কোনো বিজ্ঞানী এমন তাঁপ প্রমাণ করতে পারেননি।


২. চাঁদের পৃষ্ঠদেশ ঈষৎ কালো। আমরা জানি কালো বস্তু কখনোই আলো প্রতিফলন করে না। চাঁদে কোনো বায়ুমন্ডলও নেই। সুতরাং চাঁদের বায়ুমন্ডল দ্বারা আলো প্রতিফলিত হবে, এমন যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নায়।



বোঝা গেলো, চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে না, বরং সঠিক ব্যাখ্যা ঐটিই, যা কোরআন বলে। অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব নূর তধা আলো বিদ্যমান।

.

মূনির শব্দের শাব্দিক অর্থ দুইটি।

১. “যী নূর” অর্থাৎ নূরের অধীকারী। 

২. ফায়িলুন আনিন নূর। অর্থাৎ নূর ক্রিয়াটির কর্তা।


যে নূর প্রতিফলন করে, তাকে কখনোই নূরের অধীকারী বা নূর ক্রিয়ার কর্তা বলা হবে না। বরং তাকে বলা হবে “মানার”


যেহেতু আল্লাহ মানার শব্দ ব্যাবহার না করে “মূনির” শব্দ ব্যবহার করেছেন, কাই চাঁদের নিজস্ব আলো বিদ্যমান, এই বিশ্বাস করাই ফরজ, অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে।



রয়ীসুল মুফাচ্ছিরীন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রযি. বলেন,

চাঁদের পিঠ (পিছনদিক) পৃথিবীর দিকে, আর মুখ (সম্মুখভাগ) বীপরিত দিকে। ঐদিকে আলো বেশি, যদি মুখ পৃথিবীর দিকে হতো, তাহলে এতো আলো হতো, মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতো কারণ নূরের তাজাল্লীতে কিছুই চোখে দেখতো না।


ইমাম ইবনে কাসীর সহ সকল মুফাচ্ছির হাদিসটি সহীহ বলেছেন।


কোনো কাফের বিজ্ঞানী এমন থিওরী বিশ্বাস করবে? কখনোই বিশ্বাস করবে না। কিন্তু মুমীনরা এই বিশ্বাস করাই ফরজ।


চাঁদ যদি আলো প্রতিফলিত করতো, তাহলে যেদিকে সূর্য, তার বীপরিত দিক অন্ধকার থাকতো! অথচ হাদিসতো বলে আমরা যেই সাইড দেখি তার বীপরিত দিকে আরো বেশী নূর! যা বিজ্ঞানের বিরোধী।


এখন মুমিনরা নিজেরাই চিন্তা করা উচিৎ, কোনটি মানবো? বিজ্ঞান নাকি হাদিস??

.

এখন বলা হবে, তাহলে চাঁদ পূর্ণিমা বাদে অন্য সময়ে কেনো আংশিক দেখায়? এ সময় নূর কোথায় থাকে?


এ সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেন,

و القمر إذا اتسق

অর্থ: কসম চাঁদের, যখন তা পূর্ণ হয়।

[সূরা ইনশিকাক— ১৮]

ইত্তিসাক শব্দের মূল অর্থ একত্রিত হওয়া। অর্থাৎ যখন চাঁদের সব আলো একত্রিত হয়।


মুফাচ্ছিরগণ বলেন, অন্য টাইমে চাঁদের নূর চাঁদে উপস্থিত থাকে না। চাঁদ থেকে নূর সরে যায়।


অনেকে বলবে, চাঁদ থেকে নূর সরে যায় সূর্য ঘুরে যাওয়ার কারণে!


প্রথমেই বলবো, এই যুক্তি কাফেররাই দিতে পারে, কারণ তারা নূর বিশ্বাসী নয়!


চাঁদে আদোউ আলো পরে কিনা, তা আদোউ প্রতিফলিত হয় কিনা, এগুলো সব বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেও ধারণাও যুক্তির আলোকে মিথ্যা আমরা প্রমাণ করেছি।


সুতরাং মুমিনরা এসব যুক্তির পিছনে থাকা হারাম এবং কুফর। বরং চাঁদের নিজস্ব “নূর” বিদ্যমান, এই বিশ্বাস করাই প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ।



সারমর্ম:

১. বিজ্ঞান মানবো যতোক্ষণ তা সরাসরি কোরআনের পক্ষে থাকে।

২. বিজ্ঞান কোরআনের বিপক্ষে গেলে, সেই বিজ্ঞান মানবো না বরং এটি ভুল তা প্রমাণ করতে যতো চেষ্টা দরকার সব করবো।

৩. কখনোই বিজ্ঞানের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য কোরআন হাদিসের অর্থ বিকৃত করার চেষ্টা করবো না।


اللهم وفقنا و وفق سائر المسلمين آمبن و تقبلنا و تقبل ما كتبت و من قرأه آمين