আল্লাহ তায়ালা বলেন,

 و إذا قرئ القرأن فاستمعوا له و أنصتوا لعلكم ترحمون

অর্থ: যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ সহোকারে শোনো এবং চুপ থাকো।

[সূরা আরাফ, আয়াত : ২০৪]

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাচ্ছিরগণ বলেন,

  نزلت فى ترك الكلام فى الختبة

আয়াতটি খুতবার মধ্যে কথা বলার (নিষেধাজ্ঞা) বিষয়ে নাজিল হয়েছে।

[তাফসীরে জালালাইন : ১৪৭]

অনলাইন সূত্র : http://www.quran-for-all.com/t-7-2-204.html

.

قال شعبة عن منصور: سمعت إبراهيم بن أبي حمزة يحدث أنه سمع مجاهداً يقول في هذه الاَية قال: في الصلاة والخطبة يوم الجمعة 

(সনদের পর...) মুজাহিদ রহ. (যিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রযি. এর খাদেম এবং বহু হাদিস বর্ণনাকারী) এই আয়াতটি সম্পর্কে বলেন, এটি জুমার দিনের নামাজ এবং খুতবা বিষয়ে নাজিল হয়েছে।

[তাফসীরে ইবনে কাসীর : সূরা আরাফ : ২০৪]

.

অনলাইন সূত্র : https://surahquran.com/tafsir-ibn-kathir/176.html

وقيل : إنها نزلت في الخطبة ; قاله سعيد بن جبير ومجاهد وعطاء وعمرو بن دينار وزيد بن أسلم والقاسم بن مخيمرة ومسلم بن يسار وشهر بن حوشب وعبد الله بن المبارك

অনেকের মতে, এই আয়াতটি খুতবা বিষয়ে নাজিল হয়েছে। এমন বলেছেন, সাঈদ ইবনে জুবাইর, মুজাহিদ, আতা, আমর ইবনে দীনার, জায়েদ ইবনে আসলাম, কাসেম ইবনে মুখাইমা, মুসলিম ইবনে ইয়াসার, শাহর ইবনে হাওসাব এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ.

[তাফসীরে কুরতুবী : সূরা আরাফ : ২০৪]

.

যেহেতু আল্লাহ্ তায়ালা খোতবা বুঝাতে “কোরআন“ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তাই খোতবা শোনা ও বলার হুকুম কোরআন পাঠের নিয়মের মতো।

.

যেহেতু আরবী ব্যাতিত অন্য ভাষায় কোরআন তিলাওয়াত করা সম্ভব নয়, তাই  আরবী ব্যাতিত অন্য ভাষায় খোতবা দেয়া বৈধ নয়।

.

তবে, এই আয়াতের ব্যাখ্যায় যতো হাদিসে খুতবার কথা এসেছে, একটা হাদিসও তাওয়াতির নয় বরং খবরে ওয়াহেদ। এবং এই হাদীসগুলোর বিরোধী কিছু হাদীসও বিদ্যমান (যেগুলোতে সরাসরি কোরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে এই হুকুমের কতা বলা হয়েছে।)

তাই খুতবা আরবী ভাষায় হওয়া ফরজ নয় বরং ওয়াজিব। অন্য ভাষায় খুতবাহ বললেও খুতবার রুকুন আদায় হবে, কিন্তু মাকরুহে তাহরিমী হবে।

.

 و اللّٰه أعلم