সাইকো সেক্সুয়্যালিটি
-মোঃ তানজিল হোসাইন (আকাশ)

পূর্বের পর্বে সাইকো সেক্সুয়্যালিটির সংজ্ঞা, সামাজিক অবস্থা, উদাহরণ, ক্ষতিসমূহ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছিলো।
প্রথম পর্বের লিঙ্ক:

এখন এই পর্বে সাইকো সেক্সুয়্যালিটি টপিকের উপর ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা আলোচনা করা হবে। বিস্তারিত ভূমিকা ছাড়াই সরাসরি মূল বিষয়ে শুরু করা হলো।

১. ঐতিহাসিক সাইকো সেক্সুয়্যালিটির ঘটনা বর্ণনা করতে হলো প্রথমেই বলা উচিৎ নবাব সিরাজুদ্দৌলার কর্মকান্ড! তিনিও সাইকো সেক্সুয়্যাল ছিলেন। তিনি কোনো সুশ্রী গর্ভবতী মহিলাকে দেখলেই ঐ মহিলার পেট কেঁটে হত্যা করে ফেলতেন!

২. নবিজী হযরত মুহাম্মাদ স. এর নবুওয়্যাত প্রাপ্তির পূর্বের সময়কে বলা হয় “জাহেলিয়াতের যুগ!” এই যুগে কণ্যা সন্তানদেরকে অপছন্দ, অপদস্ত, অবহেলিত গণ্য করা হতো। এমন যুগে একদিন এক গর্ভবতী মহিলা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো, দুই ব্যাক্তি তাকে দেখে নিজেরা ঝগড়া শুরু করলো, একজন বলে তার পেটে ছেলে, অন্যজন বলে মেয়ে! তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় পেট কেঁটে দেখবে ছেলে নাকি মেয়ে! এভাবেই তারা মহিলাটিকে হত্যা করে ফেলে।
[রেফারেন্স: দৈনিক কালের কন্ঠ]

৩. জাপান সৃষ্টিলগ্নের শুরুর দিকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ শাস্তির পদ্ধতি ছিলো- প্রথমে অপরাধিকে ক্রুশবিদ্ধ করা হবে, এরপর তার নাভি চিরে নারিভুরি বের করা হবে, এবং ঐ নারিভুরি কিছু মানুষ তাদের লিঙ্গে জরিয়ে হস্তমৈথুন করবে!
[উইকিপিডিয়া]

৪. স্পেনে মুসলিম শাসনের পূর্ব যুগে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ শাস্তির পদ্ধতি ছিলো অপরাধিকে জনসম্মুখে উলঙ্গ করে পা বেঁধে উল্টো করে গাছের সাথে ঝুলানো হবে, এরপর জীবিত অবস্থায়ই দ্রুত তার চামড়া কেঁটে ফেলা হবে, তারপর তাকে জবাই করা হবে। এখানেই শেষ নয়, সবচেয়ে জঘন্য অবস্থা হলো, অপরাধির শরীরের মাংস কেজি দরে বিক্রি করা হবে এবং এই মানুষের মাংস মানুষরাই খেতো!
[বিবিসি নিউজ]

৫. প্রাচীন মিশরে নেক্রোফিলির সংখ্যা ছিলো বহু। নেক্রোফিলি বলা হয় যারা প্রথমে কোনো মেয়েকে হত্যা করে, এবং তারপর মৃতদেহের সাথে সঙ্গম করা পছন্দ করে! আমেরিকার Jeffry Dahmer নামক ব্যাক্তি ১৯৭৮ সালে ১৭ জন ছেলে মেয়েকে খুন করার পর লাশের সাথে সঙ্গম করে। তার খুন করার মেথড ছিলো যৌনাঙ্গ এবং পেট কেঁটে ফেলা।

৬. প্রাচীন রুমে অধিকাংশ মেয়ে মারা যেতো ব্রেস্ট ক্যান্সারের মাধ্যমে। এর মূল কারণ ছিলো তাদের দাম্পত্য সঙ্গীরা প্রচূর জোরে স্তন কাঁপতো, কামড়াতো। এমন কাজ এখন প্রায় ৯৮% বিবাহিত ছেলেরাই করে। কিন্তু নিজের সঙ্গীকে যদি হারাতে না চান, সকলের সতর্ক হওয়া উচিৎ।

৭. রোমের বাদশাহ ফেরোসিসের একটি পছন্দনীয় কাজ ছিলো, যেই মেয়েদের নাভির গর্ত খুব গভীর, তাদের নাভির গর্তে মদ রেখে চুষে চুষে খাওয়া! এমনকি সে নাভি চুষতে চুষতে নাভি সহ পেটের চাঁমড়া মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে পেট কামড়াতো! এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার ২ জন দাসী মারা যায়।

৮. আমেরিকায় ১৭৪০ সালে পুরুষদের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিলো যৌনাঙ্গে ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা!

৯. বাদশাহ ফকীহ আওরঙ্গজেব আলমগীর রহ. এর শাসনামলে ভারত বর্ষের কিছু মানুষ মোটা মেয়েদের নাভিতে সঙ্গম করা পছন্দ করতো! যে বিষয়ের শরয়ী মাসায়েল বিষয়ে ফতুয়ায়ে আলমগীরীতে আলোচনাও করা হয়েছে।

১০. রাণি কুইন মেরি (প্রথম) পুরুষের যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকানো পছন্দ করতেন।

(চলবে...)